বর্তমানে ইউটিউব একটি জনপ্রিয় এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম । তাই এই ইউটিউব প্লাটফর্ম কে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ তার কনটেন্ট ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন উপায়ে আয় করছে। যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান এবং কনটেন্ট শেয়ার করতে চান তাহলে আজকের এই গাইডের মাধ্যমে আপনাকে অনেক সাহায্য করে তুলবে। তাই আমরা ব্লগের মাধ্যমে আলোচনা করব ইউটিউব চ্যানেল খোলার সঠিক নিয়ম ও কনটেন্ট তৈরি করার পদ্ধতি কিভাবে করবেন সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইউটিউব চ্যানেল কেন খুলবেন
1. ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আমাদের কয়টি উদ্দেশ্য থাকে সেগুলি হল আয়ের সুযোগ বিভিন্ন কন্টেনের মাধ্যমে আমরা মনিটাইজেশনের করে ভিডিওকে আয় করা সম্ভব।
2. দ্বিতীয়ত হল আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে নিজেকে একটি ভালো কনটেন কিউটর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
3. কনটেন্ট ক্রিয়েশনের ফলে আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান ও প্রতিভা শেয়ার করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম গুলি জানুন
প্রথমত গুগল একাউন্ট খুলুন
ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হলে আপনাকে একটি গুগল একাউন্ট খুলতে হবে সেখানে আপনি Gmail ID আইডির সাথে অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করতে হবে তাহলে সহজেই নিচে স্টেপ গুলো অনুসরণ
- Gmail ID সাইন আপ করুন
- লিংকে গিয়ে আপনার নাম ও ইউজার আইডি দিয়ে এবং নতুন একটি পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে একাউন্টে ভেরিফাই করুন
দ্বিতীয় Youtube এ গিয়ে লগইন করুন
আপনার যদি Gmail অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যায় তাহলে ইউটিউবে গিয়ে আপনার Gmail একাউন্টের সাথে লগইন করুন।
তৃতীয় নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন
আপনি যদি জিমেইল একাউন্টের সাথে ইউটিউব চ্যানেলটি লগইন করার পর সেখানে ডান দিকে আপনার প্রোফাইলের আইকন দেখতে পাবেন। সেখানে গিয়ে ক্লিক করুন।
1. Youtube চ্যানেল অপশন সিলেক্ট করুন
2. তারপর create Channel বটন গিয়ে ক্লিক করুন
3. আপনি কোন ক্যাটেগরি চ্যানেল বানাবেন বাকি ধরনের চ্যানেল করবেন সেই বিষয়ে আপনার নাম নির্ধারিত করুন
4. তারপর create অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনার ইউটিউবের নাম অ্যাড করলে আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে।
ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন
আমরা অনেক সময় ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে ফেলি কিন্তু সেটি সঠিক নিয়মে কাস্টমাইজ করতে পারি না। তাই একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হলে অবশ্যই তার কাস্টমাইজ খুবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যার ফলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে অনেকটাই আকর্ষণীয় করে তোলে চলুন এবার আলোচনা করা যাক আপনি ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন।
1. আপনার ইউটিউব চ্যানেল ক্যাটেগরি অনুযায়ী আপনার নিজের ফটো আপডেট করতে পারবেন ।এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যদি ইউটিউব চ্যানেল বানাতে পারেন তাহলে সেই ব্র্যান্ডের customize brand logo ব্যবহার করতে পারবেন । এটি আপনার ব্রেন্ডিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
2. Youtube চ্যানেলে cover photo অবশ্যই এড করুন এটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ ধারণা দেয়।
3. About Section গিয়ে আপনার সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিবরণ দিন যার ফলে আপনার ভিউয়ার্সরা সহজেই আপনার সম্পর্কে বুঝতে পারবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই বিভিন্ন জায়গায় আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি শেয়ার করুন । যার ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনার কনটেন্ট দেখার সুযোগ পাবে ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটির মাধ্যমে এবং আপনার সাবস্ক্রাইবার অবশ্যই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিভাবে প্রথম ভিডিও আপলোড করবেন ইউটিউব চ্যানেলে
আমরা সকলেই ইউটিউব চ্যানেল তো খুলেই ফেলি কিন্তু সঠিক নিয়মে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার জানিনা। সঠিক নিয়মে ইউটিউবের ভিডিও আপলোড না করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাওয়া সম্ভব হবে না । তাই অবশ্যই সঠিক নিয়মটা শিখে রাখুন স্টেপ বাই স্টেপ আমি আপনাদের গাইড করব।
1. প্রথমত আপনাকে create অপশনে জান তারপর Upload Video অপশনটিতে ক্লিক করুন
2. দ্বিতীয় হল আপনাকে আপনার ভিডিও নির্বাচিত করুন যেটি আপনি আপলোড করবেন
3. তৃতীয় শিরোনাম বা টাইটেল Title নির্বাচন করুন যে বিষয়ে আপনি ভিডিওটি আপলোড করছেন এবং
বিবরণ (Description) ভিডিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু লিখুন
4. চতুর্থ হলো এই ভিডিওর ট্যাগ (TAGS) অপশন এ গিয়ে কিছু ট্যাগ এড করুন
5. এবং সর্বশেষ আপনি ভিডিওটি পাবলিক অপশনে গিয়ে পাবলিশ করুন
আপনার ভিডিওটি কে কিভাবে এসইও SEO অপটিমাইজ করবেন
যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এসইও সম্পর্কে নির্ধারিত জ্ঞান থাকা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ। SEO ছাড়া আপনার ভিডিওকে র্যাঙ্ক করা খুবই দুষ্কর হয়ে পড়বে । তাই অবশ্যই আপনাকে SEO VIDEO শিখতে হবে।
1. SEO করতে হলে আপনাকে প্রথমত ইউটিউবে যে বিষয়ে আপনি ভিডিও বানাচ্ছেন সেই বিষয়ে টাইটেল খুবই আকর্ষণীয় টাইটেল বানাতে হবে
2. আপনি যখন ভিডিও সম্পর্কে কিছু বিবরণ ( Description) লিখবেন তার সাথে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড এড করুন এটির ফলে আপনার ভিডিওর Rank হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
3. SEO ক্ষেত্রে ভিডিওর বিষয় সমূহ মিল দেখে আপনাকে জনপ্রিয় কিছু tags ব্যবহার করতে হবে।
4. SEO করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার ভিডিও থাম্বেল খুব সুন্দর করে বানাতে হবে যেটি আপনার ভিডিও দেখা করে ক্লিক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
উপসংহার
ইউটিউব চ্যানেল খোলার ক্ষেত্রে ও সেটআপ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ যদি উপরের নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলেন। কিন্তু ইউটিউবে সফল হতে গেলে আপনাকে পরিকল্পিতভাবে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে হবে। এছাড়াও আপনার ভিডিওর কনটেন্ট গুণগতমান বজায় রাখতে হবে এবং প্রতিদিন আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে । এবং ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলটি বড় হয়ে উঠবে এবং সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।